
এবারের দূর্গা পূজায় বিপুল চন্দ্র রায়ের তিন কবিতা
আসছে দেবী দুর্গা মা
আশ্বিনের আগমনী সুর ভেসে আসে,
ওই দূরে নীলিমায় মেঘেরা হাসে।
কাশফুল দুলছে শুভ্রতার সাজে,
ঢাকের কাঠি বাজে পূজা এলো যে!
আসছে দেবী দুর্গা সাজছে ধরা,
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা পাড়া।
আলো ঝলমলে রঙের সাজ,
উৎসবে মেতেছে সবার প্রাণ আজ।
নানা রঙে সেজেছে মাটির প্রতিমা,
অশুভ বিনাশে মা আসেন দশভুজা।
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর ক্ষণ,
ভক্তি-পুষ্পাঞ্জলি করে সমর্পণ।
বিজয়ার বিষাদ চোখের কোণে জল,
শুভ হোক শারদীয়, জয় মা দুর্গা বল।
****
অকাল বোধন
শরৎ এলো মেঘের ভেলায় ডাকছে গানে গানে,
কাশের বনে হাওয়ার নাচন নতুন দিনের টানে।
আজকে যেদিন অকাল বোধন, রামের সে আরাধনা,
মায়ের আগমনীর ধ্বনি জাগায় সবার চেতনা।
শিউলি ঝরে গন্ধ ভাসে ভোরের দুর্বাঘাসে,
পূজোর খুশি উপচে পড়ে প্রাণের প্রতিশ্বাসে।
ঢাকের বাদ্যি উঠল মেতে আকাশ বাতাসজুড়ে,
বছর শেষের ক্লান্তি ভুলে মনটা গেল ভরে।
ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ চোখে ভক্তির প্রদীপ জ্বালা,
সপ্তমী, অষ্টমী, অঞ্জলির শুভ্র ফুলের ডালা।
আলো ঝলমলে শহরজুড়ে উৎসবের এই সাজ,
নতুন পোশাকে সেজে ওঠে আবাল-বৃদ্ধ আজ।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমেছে হাসির কলরব,
মা এসেছেন শান্তি দিতে ঘোচাবে দুখ-কষ্ট সব।
খুশিতে মাতি আনন্দে বাঁচি কাটাই পূজার ক’টা দিন,
দুর্গাপূজা মানেই যেন বাঁধভাঙা এক খুশির দিন।
****
পূজোর চিঠি
আশ্বিনের আকাশে বাজে আগমনীর সুর,
পূজোর চিঠি দিলাম তোকে, প্রিয় বন্ধুবর।
শহরজুড়ে আলোর রেশ শারদ উৎসব ভবে,
পূজোর দিনে মনের খুশিতে ঘুরবো তেপান্তরে।
দূরের মানুষ ফিরছে বাড়ি শিকড়ের টানে,
মিলন হবে সকল আপনজনে এই ক’টা দিনে।
পূজোর খুশি, পূজোর স্মৃতি হোক আনন্দময়,
এ আনন্দ থাকুক মনে হোক চিরঞ্জয়।