Logo

রাজনীতি    >>   আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত - গণতন্ত্র, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত; বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের প্রতিক্রিয়া ও প্রজন্মের প্রত্যয়: সাদ্দাম হোসন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত - গণতন্ত্র, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত; বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের প্রতিক্রিয়া ও প্রজন্মের প্রত্যয়: সাদ্দাম হোসন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত - গণতন্ত্র, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত; বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের প্রতিক্রিয়া ও প্রজন্মের প্রত্যয়: সাদ্দাম হোসন

সাদ্দাম হোসন, প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ—এই নাম শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, বরং এ নাম আমাদের অস্তিত্ব, ইতিহাস ও স্বাধীন চেতনার প্রতীক। এই সংগঠনের শিকড়ে মিশে আছে ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা সকাল, সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনার দৃঢ় ভিত্তি।
সেই আওয়ামী লীগকে আজ অবৈধ, বেআইনি ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান দখলদার সরকারের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের মুখে কষে বসানো লাথি, ইতিহাসের গায়ে ছুঁড়ে মারা কালিমা, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মিত সম্ভাবনার দ্বার রুদ্ধ করে দেওয়ার এক হীন চক্রান্ত।
আওয়ামী লীগ মানেই ইতিহাসের প্রতিধ্বনি
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর অধিকার, প্রযুক্তি ও অগ্রগতির প্রতীক আওয়ামী লীগ—এই দল নেতৃত্ব দিয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে, এখন এগিয়ে চলেছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর পথে। এই দলই ছিল মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে আপসহীন, এই দলই তৈরি করেছে স্বাধীনতা-উত্তর উন্নয়নের ছক।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা এই দলকে ধারণ করেছে আত্মায়, যারা বঙ্গবন্ধুর নাম শুনে হৃদয়ে রক্তের স্রোত টের পায়, তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা আত্মঘাতী, হাস্যকর ও ইতিহাসবিদ্বেষী এক বিপর্যয়।
ছাত্রসমাজের প্রত্যাখ্যান ও প্রতিজ্ঞা
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এই সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দল-মত নির্বিশেষে তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করে, এদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, এবং গণতন্ত্রের পরিবর্তে ধর্মান্ধ উগ্রবাদের ভয়ংকর ছায়া ফেলতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ছাত্রসমাজ জানে, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইয়াহিয়া যেমন রক্ষা পায়নি, ইউনূস গং-ও রক্ষা পাবে না। দেশের প্রতিটি ছাত্র, যুবক, সাধারণ নাগরিক—যে যেভাবে পারে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, প্রতিবাদের স্বর হবে দুর্বার, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সংগঠিতভাবে।
এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্নিহিত ভয়
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে বর্তমান অপশাসকরা আসলে নিজেদের ভয় আর দুর্বলতাকেই প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগ থাকলে তাদের অপরাজনীতি ধরা পড়ে, গণআন্দোলনের ঢেউ সামলানো যায় না। তারা জানে, একটি শিশু জন্মালেও, তার চারপাশে বঙ্গবন্ধু থাকবে, একবুক সাহস নিয়ে উচ্চারিত হবে “জয় বাংলা”।
তারা জানে, একটি মিছিল শুরু হলে তাতে আওয়ামী লীগের চেতনা থাকবে, একটি বুলেট ছোড়া হলে তাতে লক্ষ হবে গণতন্ত্রের বুকে, কিন্তু প্রতিরোধও হবে ততোধিক জোরালো।
আহ্বান জনতার প্রতি
আজ সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হবার।
আজ সময় এসেছে প্রতিবাদের।
আজ সময় এসেছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলার মা-কে বাঁচানোর।
আমরা যারা বিশ্বাস করি মানবিক মূল্যবোধে, আমরা যারা চাই মুক্ত চিন্তার পরিবেশ, ন্যায়বিচার আর প্রগতির সমাজ—আমাদের পিছু হটার সময় নেই।
এখনই সময় জেগে ওঠার।
একটি নতুন সংগ্রাম, নতুন ঐক্যের ডাক এখন সময়ের দাবি।
“দিয়েছি তো শান্তি, আরও দেবো স্বস্তি
দিয়েছি তো সম্ভ্রম, আরও দেবো অস্থি
প্রয়োজন হ’লে দেবো একনদী রক্ত।”
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
সাদ্দাম হেসেন 
সভাপতি , কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ,  ঢাকা ।
বাংলাদেশ ।