Logo

খেলাধুলা    >>   টটেনহ্যামে ১০ বছর কাটানোর পর টটেনহ্যাম ছাড়ার ঘোষণা সন হিউং-মিনের: সম্ভাব্য গন্তব্য কি তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার?

টটেনহ্যামে ১০ বছর কাটানোর পর টটেনহ্যাম ছাড়ার ঘোষণা সন হিউং-মিনের: সম্ভাব্য গন্তব্য কি তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার?

টটেনহ্যামে ১০ বছর কাটানোর পর টটেনহ্যাম ছাড়ার ঘোষণা সন হিউং-মিনের: সম্ভাব্য গন্তব্য কি তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার?

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

মাত্র ২৩ বছর বয়সে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেন  টগবগে যুবক সন হিউং-মিন। টটেনহ্যামে সন হিউং-মিনের কাটলো বর্ণিল ১০টি বছর। শনিবার এক দশকের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান অধিনায়ক সন হিউং-মিন।

৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার তার পরবর্তী গন্তব্য প্রকাশ করেননি। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের ধারণা, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (MLS) ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে যোগ দিতে পারেন।

চলতি বছরের মে মাসে সনের নেতৃত্বেই টটেনহ্যাম ১৭ বছর পর প্রথম ট্রফি জেতে। ইউরোপা লিগ ফাইনালে তারা হারায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তবে দলগত অর্জন এলেও সনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে মৌসুমটি খুব ভালো ছিল না। বেশ কয়েকবার পায়ের ইনজুরিতে ভুগেছেন তিনি এবং আগের তুলনায় পারফরম্যান্সও ছিল দুর্বল।

সবমিলিয়েই টটেনহ্যামকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন। এক সংবাদ সম্মেলনে আবেগী কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি এই গ্রীষ্মে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঘোষণাটি আসে রোববার সিউলে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্পার্সের প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচের ঠিক আগের দিন। সিউল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী এবং সনের মাতৃভূমি।

সন হিউং-মিন আরও বলেন, আমি নিজেকে এগিয়ে নিতে নতুন একটি পরিবেশ চাই। সামান্য পরিবর্তন দরকার, ১০ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। আমি যখন উত্তর লন্ডনে আসি, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৩, একেবারে তরুণ। আজ আমি এই ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছি একজন পরিপক্ব ও গর্বিত মানুষ হিসেবে। ক্লাবও আমার এই সিদ্ধান্তে সহযোগিতা করছে।

ইউরোপা লিগ ট্রফি জয়ই তার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে, জানান সন। বলেন, আমি মাঠে এবং মাঠের বাইরে নিজের সেরাটা দিয়েছি। ইউরোপা লিগ জয়ের মাধ্যমে মনে হয়েছে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। যা কিছু সম্ভব, অর্জন করেছি।

সন হিউং-মিন মাত্র ১৬ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জার্মানিতে যান বুন্দেসলিগায় খেলার জন্য। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে আসেন টটেনহ্যামে যোগ দিতে। স্পার্সের হয়ে ৪৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৭৩টি গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড।