যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি তেল-গ্যাস কেনার কথা চিন্তা করছে ভারত
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল-গ্যাস কেনার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। এরই মধ্যে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রেরর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ওয়াশিংটনের অসন্তোষের মধ্যেই ভারতের এমন পরিকল্পনার কথা জানা গেলো।
এর আগে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে জানিয়েছেন যে ‘ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে না। তবে ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন কোনো ফোনালাপই হয়নি।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ভারত জ্বালানি সরবরাহের উৎস বহুমুখীকরণে মনোযোগ দিচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, চীনের পর রাশিয়ার তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ভারত। গত আগস্টে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই তেল কেনার প্রসঙ্গও তুলেছিলেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্থির জ্বালানি বাজারে ভারতীয় ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করাই সরকারের অগ্রাধিকার। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, স্থিতিশীল জ্বালানি মূল্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের জ্বালানি নীতির দুটি মূল লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে আমরা জ্বালানি উৎস বৈচিত্র্য আনতে কাজ করছি, যাতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরও জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ও এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, ভারতের বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল বুধবার বলেন, যদি মূল্য প্রতিযোগিতামূলক হয়, তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কেনা বাড়াতে আগ্রহী।
সংবাদমাধ্যমকে আগরওয়াল জানান, বর্তমানে ভারত প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২০০ থেকে ১৩০০ কোটি ডলার মূল্যের অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কিনে থাকে। তবে এর প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ কেনা সম্ভব নয়, কারণ এতে দেশটির তেল পরিশোধন শিল্পে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছে। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো জ্বালানি সহযোগিতা। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, ভারত জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে উৎস বৈচিত্র্য আনতে আগ্রহী। বড় ক্রেতা হিসেবে এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। সূত্র: ফার্স্টপোস্ট

















