নিউইয়র্ক থেকে টাইম স্কয়ার—প্রবাসী বেঙ্গলি খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ’র ব্যতিক্রমী ক্রিসমাস ইভ আয়োজন
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক :
প্রভু যীশু খ্রিস্টের পবিত্র জন্মোৎসব উপলক্ষে শান্তি, ক্ষমা ও আলোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্রিসমাস ইভ উদযাপন করেছে প্রবাসী বেঙ্গলি খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, ইনক্. (USA)।
“আমরা আছি বিপুল আশায়—আসিতেছেন মহারাজা মহামহিমায়” এবং “হাঁ, সেই মহারাজার আগমনের প্রস্তুতির জন্য”—এই বিশ্বাসঘন আহ্বানকে সামনে রেখে সংগঠনটি নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, কানেক্টিকাট এবং প্রথমবারের মতো টাইম স্কয়ারে কীর্তনের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে প্রবাসে বসবাসরত বাঙালি খ্রিস্টভক্তদের ঘরে ঘরে বড়দিনের আনন্দ ও শুভবার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কীর্তন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বড়দিনের মহাসন্ধিক্ষণ—২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে—যীশু খ্রিস্টের আগমন উপলক্ষে এক বিশেষ খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান পৌরোহিত্য করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার মিন্টো জের্ভাস রোজারিও। এই খ্রিস্টযাগে প্রায় ৬০০-এর অধিক খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।
উপদেশে ফাদার মিন্টো জের্ভাস রোজারিও বলেন,
“এই বড়দিনে যীশুই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। যীশুর শিক্ষা ও তাঁর জীবনাচরণ যদি আমরা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি, পবিত্র জীবনযাপন করি এবং অন্যকেও সে পথে উদ্বুদ্ধ করতে পারি—তবেই বড়দিনের প্রকৃত স্বার্থকতা এবং খ্রিস্টের সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পূর্ণতা পায়।”
খ্রিস্টযাগে বাণী পাঠ করেন সনি ও উর্মি, এবং সার্বজনীন প্রার্থনা পাঠ করেন তনিমা মৌরিন পল।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সংগঠনের সভাপতি মিস্টার গ্যাব্রিয়েল গমেজ উপস্থিত সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে আমরা বড়দিনের আনন্দ একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।”
সাধারণ সম্পাদক মিস্টার ম্যাথিয়াস রোজারিও-ও সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
খ্রিস্টযাগের সমগ্র সংগীত পরিবেশন ও পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস চিত্রা রোজারিও। তবলায় সঙ্গত দেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি মিস্টার যোসেফ বিকাশ ডি’কস্তা। গানের দলে অংশ নেন চন্দ্রা, প্রভা, মারিয়া, রুমা, শ্যামলী, ইভা, মনি, রেজিনা, পূর্ণিমা, ডমিনিক ও ম্যাথিয়াস বাবুল।
খ্রিস্টযাগ শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলের জন্য কেক, পিঠা ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়। এতে পুরো আয়োজন এক আনন্দঘন মিলনমেলায় রূপ নেয়, যা প্রবাসে বড়দিনের উৎসবকে পরিণত করে এক মহা আনন্দযজ্ঞে।

















