শেখ হাসিনাকেই ঠিক করতে হবে তিনি কতদিন ভারতে থাকবেন: এস জয়শঙ্কর
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই ঠিক করতে হবে তিনি কতদিন ভারতে। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং যে পরিস্থিতিতে তিনি দেশটিতে এসেছেন সেটিই মূলত তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে এইচটিএ লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কনওয়ালের সঙ্গে আলাপকালে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়, শেখ হাসিনা কি ‘যতদিন খুশি’ ভারতে থাকতে পারবেন?
জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, আর সেই পরিস্থিতিই ভবিষ্যতে তার জন্য কী হবে, তা অনেকটা নির্ধারণ করবে। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তার নিজেকেই নিতে হবে।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান শেখ হাসিনা। এর ফলে তার টানা ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি ও অসংখ্য আহত হওয়ার পর ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হানিসা। গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিক্ষোভ দমনে তার সরকারের ‘অমানবিক দমননীতি’র অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জোর
আলোচনায় বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠলে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষ করে এখন যারা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের অভিযোগ ছিল আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে। জয়শঙ্করের কথায়, নির্বাচনে যদি সমস্যা থেকেই থাকে, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও জনগণের ইচ্ছাশক্তির প্রতিফলন দেখতে চায়। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা চাই মানুষের ইচ্ছা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যে-ই ক্ষমতায় আসুক, তারা ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিণত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবে এবং সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। সূত্র: এনডিটিভি, জাগোনিউজ

















