নিউইয়র্কে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন: বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও পিঠা উৎসবে বিজয়ের চেতনায় প্রবাসে গৌরবময় আয়োজন
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক :
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং মহান বিজয়ের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বহন করে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে নিউইয়র্কে ৫৫তম মহান বিজয় দিবসের সমাবেশ করেছে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন ইনক্। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালিদের অংশগ্রহণে বিজয়ের আবহে এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয় আয়োজনটি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আবৃত্তি শিল্পী মুনমুন সাহা,–এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান, স্টিভেন রাগা (Assembly District-30), কমিউনিটি সার্ভিসে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ড. সবিতা দাস,–কে সম্মানসূচক সাইটেশন প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, বহুজাতিক নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ও বাঙালি সংস্কৃতিকে জীবন্ত রাখার ক্ষেত্রে ড. সবিতা দাসের মতো সংগঠকদের ভূমিকা ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে “জয় বাংলা—জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগানে লাল-সবুজের উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, লাবলু আনসার, আবুল বাসার চুন্নু এবং রাসেদ আহমেদ,–কে।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ড. সবিতা দাস,–এর নেতৃত্বে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের শিল্পীরা সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সোসাইটি, মহিউদ্দিন দেওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, মুজাহিদ আনসারি, আওয়ামী লীগ নেতা, হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, প্রজ্ঞা নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক, উত্তম কুমার সাহা,–সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
বিজয় দিবসের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব, যা উপস্থিত সবাই পরম তৃপ্তিতে উপভোগ করেন। প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে পুরো অডিটরিয়াম লাল-সবুজের আবহে সেজে ওঠে। আয়োজনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রবাস প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত রাখার এক নিরন্তর প্রয়াস স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানে সমবেত সঙ্গীতে অংশ নেন শিল্পী, দেবী সরকার, রুনা রায়, মৌসুমী দাস, মিতা ঘোষ, নন্দিনী মৃধা, মিলি বসাক, ড. সবিতা দাস, সুলতানা খানম, আয়শা খান, অনামিকা চন্দ, মুনমুন সেন, অথোরা ঘোষ, ড. রুমা চৌধুরী, কামনা কর্মকার, মনিকা দাস-১, পারিজাত দাস, সৌভিত রায় চৌধুরী, সুশীল সিনহা, বুলা আফরোজ, চমেন আফরোজ, মনিকা দাস-২, শীলা রায়, জয়শ্রী রায়, রত্না চন্দ, তপতী পোদ্দার, অঞ্জলি সরকার, প্রিয়া পাল, নার্গিস আহমেদ শিলু, সবিতা দাস-২, সীমা দত্ত, রিপা ধর, মোহর খান, সঞ্চিতা দাস, অজিত চন্দ এবং অর্জুন দাস।
প্রধান অতিথি, অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা,–এর হাত দিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, শিল্পী ও শুভাকাঙ্খীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসেম্বলিম্যান, স্টিভেন রাগা, অ্যাসেম্বলিম্যান, ডেভিড আইরা ওয়েপ্রিন (Assembly District-24), বিশেষ অতিথি, ড. প্রভাত চন্দ্র দাস, বিশেষ অতিথি, ড. সরোয়ারুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাসেদ আহমেদ, লাবলু আনসার, আবুল বাসার চুন্নু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, এম এস আলম, লেখক খান শওকত, সামাজিক সংগঠক খাইরুল ইসলাম খোকন , নিতাই পাল, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী, সামাজিক কর্মী, মুজাহিদ rআনসারি, কৃষিবিদ, মিজানুর রহমান, সংগঠক, নুরুল ইসলাম বর্ষন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক সাবিনা হাই উর্বি, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট অজিত চন্দ্র এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, জয়শ্রী রায় , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিতাই পাল প্রমুখ ।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মধ্যে চ্যানেল আই, সোনার বাংলা টেলিভিশন, মিম টিভি, বিশ্ব বাংলা ২৪, টিবিএন ২৪ এবং টাইম টিভি অনুষ্ঠানটি প্রচার করে। প্রিন্ট মিডিয়ায় ছিল সাপ্তাহিক ঠিকানা, সাপ্তাহিক আজকাল, প্রজ্ঞা নিউজ, উইকলি জাগো প্রহরী, সাপ্তাহিক বাঙালি, সাপ্তাহিক জন্মভূমি, সাপ্তাহিক বর্ণমালা এবং সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকা।

















