ঢাকা লকডাউনের সমর্থনে জাতিসংঘের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ প্রবাসী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ–স্মারকলিপি প্রদান
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক :
ঢাকায় চলমান লকডাউন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী পরিবারসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার, পেশাজীবী ও আইনজীবী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সামনে বৃহত্তর বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধবার, ১২ নভেম্বর দুপুর ১টায় নিউইয়র্কের ৪৭তম স্ট্রিট ও ১ম অ্যাভিনিউ সংলগ্ন জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ, শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আইসিটি ও অন্যান্য ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা, বাকসুর সাবেক জিএস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর। পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।
বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, উপদেষ্টা রমেশ নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহীম বাদশা, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বখতির আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও কলামিস্ট এম এ করিম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি ও ফারুক হোসাইন, ‘শেখ হাসিনা মন্ত্রের’ সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোর্শেদা জামান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মিয়া, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুর রহমান রফিকসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা “পিস অ্যালায়েন্স এগেইনস্ট দ্য টেররিজম ইন বাংলাদেশ” ও “শেখ হাসিনা আসবে—বাংলাদেশ হাসবে” শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ‘জয় বাংলা—জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত এই কর্মসূচির প্রতি জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কূটনীতিকও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী তাঁদের হাতে “ওয়ার ইয়ার অব অ্যানার্কি/হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন ইন বাংলাদেশ আন্ডার দ্য ইন্টারিম গভর্নমেন্ট” শীর্ষক তথ্যসম্বলিত লিফলেট সরবরাহ করেন।
লিফলেটে গত সাড়ে ১৪ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের মদদে বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে মৃত্যু, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণমাধ্যম দমন, সাংবাদিক নিপীড়ন, গণতন্ত্র সংকোচনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তৃত অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
সমাবেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, “একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের মদদদাতা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।” তিনি দাবি করেন—২৬৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে এবং ১৪ সাংবাদিককে ‘অবিশ্বাস্য অভিযোগে’ আটক রাখা হয়েছে।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক বন্দী, আটক সাংবাদিকদের মুক্তি এবং দায়েরকৃত সকল ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
শেষে কর্মসূচির পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মহাসচিবের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সূত্র: হাকিকুল ইসলাম খোকন ।

















