Logo

রাজনীতি    >>   শিক্ষক দিবস: শিক্ষক নির্যাতনের কলঙ্কিত অধ্যায়ের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দৃঢ় অঙ্গীকার, শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদা পুনরুদ্ধার—সাদ্দাম হোসেন

শিক্ষক দিবস: শিক্ষক নির্যাতনের কলঙ্কিত অধ্যায়ের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দৃঢ় অঙ্গীকার, শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদা পুনরুদ্ধার—সাদ্দাম হোসেন

শিক্ষক দিবস: শিক্ষক নির্যাতনের কলঙ্কিত অধ্যায়ের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দৃঢ় অঙ্গীকার, শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদা পুনরুদ্ধার—সাদ্দাম হোসেন

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে জাতি গঠনের অগ্রভাগে থাকা শিক্ষক সমাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদনের দিন। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো—আমরা এমন এক অন্ধকার সময়ের মধ্যে এই দিবসটি পালন করছি, যখন অবৈধ, অসাংবিধানিক ও দখলদার ইউনুস সরকারের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন, অপমান ও নিপীড়নের শিকার।
৫ আগস্টের পর দেশের শিক্ষাব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়—শিক্ষাঙ্গণের প্রতিটি স্তরে পিতৃতুল্য ও মাতৃতুল্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সংঘটিত নির্মম আচরণ আমাদের জাতীয় বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। তথাকথিত ‘সমন্বয়ক’ নামধারীরা মব সৃষ্টি করে শিক্ষকদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে, তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত দৃশ্য জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দাগ হয়ে থাকবে।
এই অবৈধ সরকার আজ ‘ট্যাগিং’-এর নামে শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে কলুষিত করার নোংরা প্রয়াসে লিপ্ত। গণতন্ত্র, প্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসংখ্য শিক্ষককে তাদের শিক্ষাদান, গবেষণা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেউ হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার, কেউ বেতন-ভাতা বন্ধ অবস্থায় দুঃসহ জীবনযাপন করছেন; অনেককে পদচ্যুত, বরখাস্ত ও বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের একাংশ এখন অবৈধভাবে কারাবন্দি। আরও বেদনাদায়ক বিষয়—অপমান ও মানসিক যন্ত্রণার ভার সইতে না পেরে একাধিক শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে—জাতির পিতার আদর্শে বলীয়ান ছাত্রলীগ কোনো অবস্থাতেই এই নগ্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও শিক্ষক নির্যাতনের ঘৃণ্য অপচেষ্টা মেনে নেবে না। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, প্রগতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী শিক্ষকদের রাজনৈতিকভাবে ‘ট্যাগ’ করা মানে মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায় ও সত্যের অস্তিত্বকে অপমান করা।
ছাত্রলীগের অঙ্গীকার—শিক্ষক সমাজের ওপর সংঘটিত প্রতিটি অন্যায়ের বিচার আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে; অপরাধী যেই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পুনর্ব্যক্ত করছে—জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা শিক্ষক সমাজের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকবো। আমরা অবিলম্বে শিক্ষকদের ওপর সকল প্রকার হয়রানি, নির্যাতন, বহিষ্কার ও বেতন-ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—শিক্ষক সমাজের প্রতি অবিচার কোনোদিনও টিকে থাকতে পারেনি। সত্যের কণ্ঠস্বর কখনো স্তব্ধ হয় না।
পৃথিবীর সকল শিক্ষককে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

সাদ্দাম হোসেন
সভাপতি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ