
জাতিসংঘের সামনে আওয়ামী লীগ–বিএনপি সমাবেশে সংঘর্ষ : গ্রেপ্তার, হামলা ও হেনস্তা
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে গ্রেপ্তার, হামলা, হেনস্তা ও গণধোলাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার
সমাবেশ চলাকালে ছাত্রলীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি প্রার্থী হৃদয় মিয়ার ওপর বিএনপির কর্মী রিয়াজ রহমান হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাতাহাতির একপর্যায়ে নিউইয়র্ক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াজ রহমানকে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করে। গুরুতর আহত হৃদয়কে ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জি আই রাসেলের ওপর হামলা
এছাড়া ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জি আই রাসেল ভুল করে বিএনপির সমাবেশস্থলে প্রবেশ করলে তার ওপর বিএনপি কর্মীরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে জি আই রাসেলকে বলতে শোনা যায়, তিনি বাংলাদেশের পতাকা দেখে ভেবেছিলেন এটি আওয়ামী লীগের সমাবেশ। কিন্তু বুঝতে না পেরেই বিএনপি কর্মীদের আক্রমণের শিকার হন।
আনোয়ার হোসেন খোকনের হেনস্তা
একই দিনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে, জাতিসংঘের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠন ও পদ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে একাধিকবার হেনস্তার শিকার হন। ক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সতর্ক করে দেন—“যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।”
ফখরুলের বিড়ম্বনা
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছালে সেখানেও তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। দলের ভেতরকার ষড়যন্ত্রের জন্য খোকনকে দায়ী করেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।
এই ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে, জাতিসংঘ অধিবেশনে বিএনপির তথাকথিত ঐক্য ও নেতৃত্বের ভেতরে বিভাজন গভীর হচ্ছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার, হঠাও ইউনুস বাঁচাও দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ স্লোগান দেন।