ফিলিস্তিনের হামাসের কাছে মুক্তি পেল আরও চার ইসরাইলি নারী সেনা
- By Jamini Roy --
- 25 January, 2025
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আরও চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে। গাজার ফিলিস্তিন স্কয়ারে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এরপর রেডক্রস তাদেরকে ইসরাইলি বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেবে। এ ছাড়া, বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে এই চার নারী সেনার মুক্তির বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) হামাস মুক্তির জন্য তাদের নাম ঘোষণা করে। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। মুক্তির সময় তাদের হাসিমুখে জনতার দিকে হাত নাড়তে দেখা যায় এবং বিজয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলেন।
এই মুক্তির মধ্যে দিয়ে গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী সরবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথ সহজ হবে। আল জাজিরা জানায়, উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিরা ইতোমধ্যেই তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয় এবং নেটজারিমের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
প্রথম দফায় ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে, হামাস তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যার মধ্যে ৩১ বছর বয়সী ডরন স্টেইনব্রেচার, ২৮ বছর বয়সী এমিলি ডামারি এবং ২৪ বছর বয়সী রমি গোনেন ছিলেন। এর বিপরীতে ইসরাইল ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যাদের মধ্যে ৬৯ জন নারী এবং ২১ জন কিশোর।
গাজার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দি বিনিময়ের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্তিপূর্ণ হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনও থামেনি। এই বন্দি বিনিময় চুক্তি সফলভাবে চলতে থাকলে, আরও বন্দি মুক্তির আশায় দিন গুনছে বিশ্ব।
এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের উপর আক্রমণ করে। ইসরাইল সরকারের তথ্য মতে, ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরেও প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়, যখন ১১০ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছিল।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাস ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।