মানহানির মামলায় জামিন পেলেন তাপসী তাবাসসুম
- By Jamini Roy --
- 26 January, 2025
মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। মামলাটির চার্জশুনানি পেছানো হয়েছে এবং পরবর্তী তারিখ আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে মামলার চার্জশুনানি হওয়ার কথা ছিল।
আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাপসী তাবাসসুম জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার আইনজীবী চার্জশুনানির তারিখ পেছানোর আবেদন জানান। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন এবং জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ ঢাকার আদালতে তাপসী তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করা হয়, তাপসী তাবাসসুম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে শহীদ আবু সাঈদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।
বাদী তার জবানবন্দিতে অভিযোগ করেন, তাপসীর মন্তব্যের মাধ্যমে জাতীয় বীর ও দেশের সম্মানিত ব্যক্তিদের মর্যাদাহানি হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মামলাটি পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওইদিন তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
তাপসীর বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর ফেসবুকে করা ওই পোস্টে তাপসী শহীদ আবু সাঈদ এবং ড. ইউনূসকে নিয়ে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন, যা গণমাধ্যমে বেশ চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এমন মন্তব্য করা নৈতিকতার পরিপন্থী। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তি মানহানির বিষয় নয়, বরং জাতীয় মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ণ করেছে।
এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আমরা চার্জশুনানিতে শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করব। এটি শুধু একটি মানহানির মামলা নয়, বরং দেশের সঠিক বিচারিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠারও একটি উদাহরণ।”
অপরদিকে তাপসীর পক্ষের আইনজীবী মামলার ভিত্তিকে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছেন এবং বিষয়টি আদালতে প্রমাণ করার কথা বলেছেন।
বর্তমানে আদালতের নির্দেশ অনুসারে, মামলাটি ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সেই তারিখে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন।