বিএনপির খসরু: জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়া যাবে না
- By Jamini Roy --
- 26 January, 2025
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন বিলম্বিত হওয়া যাবে না। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মালিকানা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে।” তার মতে, যদি জনগণ তাদের মালিকানা ফিরে না পায়, তাহলে গণতন্ত্র আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে। বিএনপির এই নেতা বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ নাই, নির্বাচন দ্রুত করতে হবে।”
খসরু আরও বলেন, “কোনো দল বা গোষ্ঠী যদি মনে করে আগামী দিনের পরিবর্তনের জন্য তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেবে তবে ভুল করবে।” তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপিই প্রথম সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া সাত বছর আগে ভিশন-২০৩০ ঘোষণার মাধ্যমে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা এখন সামনে আসছে। শেখ হাসিনা পতনের দেড় বছর আগে ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি।” তিনি আরও দাবি করেন, “ঘুরেফিরে সেগুলো আসছে, নতুন কোনো আলোচনা নাই।”
বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, “বর্তমান সরকারে বিএনপির কেউ বসেনি। হাসিনার পতনের পর নির্বাচন পর্যন্ত একটি নিরপেক্ষ সরকারের দরকার ছিল, এবং বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে তবে গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের রক্ত-ত্যাগের প্রতি বেঈমানি করা হবে।”
খসরু বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে কেউ যদি দ্বিতীয় পথ অবলম্বন করে তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি জুলাই বিপ্লবের সময় ৫১৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, “বিএনপি এই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিতে চায় না, জনগণকে দিতে চায়।” তিনি আরও বলেন, “যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না।” তিনি শেষেই বলেন, “গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভিন্ন দলের মত পার্থক্য থাকতে পারে, তবে সবাইকে সম্মান করতে হবে।”