বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বাতিল-বহিষ্কার-বঞ্চিত করে সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না।
- By N/A --
- 27 January, 2025
ফ্যাসিস্ট ইউনুসকে পদত্যাগ করতে হবে, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে দখলদার-স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার ও তার মাস্টারমাইন্ড সন্ত্রাসী সমন্বয়ক গং এর মানবতাবিরোধী, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, দমনমূলক উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ-লক্ষ নেতাকর্মীর শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা। শুধুমাত্র ছাত্রলীগের সদস্য হবার কারণে অসংখ্য নেতাকর্মীর শিক্ষা সনদ বাতিল, ছাত্রত্ব থেকে বহিষ্কার, শিক্ষার সুযোগ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার হতে বঞ্চিত, শ্রেণিকক্ষে পাঠ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ, আবাসিক হল থেকে বের করে অত্যাচার-নির্যাতনের যে নতুন-নির্মম রেকর্ড তৈরি করেছে তাতে ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে হানাদার-বর্বর-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গী ইউনূস বাহিনীর হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত করার সংগ্রামে বিন্দুমাত্রও খান্ত দিবে না।
চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলায় দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী একইভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল করেছিলো। তারপরও বঙ্গবন্ধু দমে না গিয়ে ১৪ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন, সপরিবারে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং ৬১ বছর পর ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জবরদখল করে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ফ্যাসিস্ট ইউনুস এবং সমন্বয়ক গ্যাং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীকে সেমিস্টার ফাইনাল, ইয়ার ফাইনাল, কোর্স এক্সাম এবং নিয়মিত ক্লাসে অংশ নিতে দিচ্ছে না। আবাসিক হলগুলোকে দলীয় পার্টি অফিসের সম্প্রসারিত ভবনে পরিণত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী এবং উগ্রবাদী সংগঠন নির্বিঘ্নে কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে। ফ্যাসিস্ট ইউনুসের শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার অধিকার সম্পুর্ণ লঙ্ঘন করে মানবতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকাণ্ডের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মহাবিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্মীদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউনুস সরকার সার্টিফিকেট বাতিল এবং ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ 'একাডেমিক স্বাধীনতা' থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত এবং তাদের উপরও নেমে আসছে অত্যাচারের খড়গ। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ শিশু-কিশোর পাঠ্যপুস্তক থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত এবং ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মদদে। সরকারি খাতে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ এবং বেসরকারি খাত পঙ্গু করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের 'বাধ্যতামূলক বেকার' হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। 'জিরো এডুকেশন, জিরো এমপ্লয়মেন্ট, জিরো ডেমোক্রেসি’ পরিণত হয়েছে অবৈধ সরকারের অঘোষিত নীতিতে।
বাঙালির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও সংগ্রাম থেকে, হাজার বছর ধরে লড়ে যাওয়া বীরদের থেকে, ৩০ লাখ শহিদের রক্তে ভেজা পবিত্র মাটি থেকে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ত্যাগ-লড়াই থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা যে শিক্ষালাভ করেছে, যে দর্শন-দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছে, যে জ্ঞান-দক্ষতা অর্জন করেছে তা কোন বাতিল, বহিষ্কার, বঞ্চিত, বন্ধ, রুদ্ধ করার মাধ্যমে কখনোই কেড়ে নেয়া যাবে না। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের কারণে সার্টিফিকেট বাতিল হওয়া ছাত্রনেতাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বলতেন, 'স্বৈরাচারী শোষক তোমাদের সার্টিফিকেট কেড়ে নিতে পারে, অর্জিত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নয়। ন্যায়ের শিক্ষা নিয়েই যাবতীয় অন্যায় অপশক্তির পরাজয় নিশ্চিত করতে হবে।' সম্মুখে আছে বাধার পাহাড়
আমরা যে তাকে ভাঙবো
নিপীড়িত দেশে আলোর সূর্য আমরা ছিনিয়ে আনবো’
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক : সাদ্দাম হোসেন ,
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ,
ঢাকা, বাংলাদেশ