যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার পর তারেক রহমানের বাসায় খালেদা জিয়া
- By Jamini Roy --
- 25 January, 2025
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৮ দিনের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের দ্যা লন্ডন ক্লিনিক থেকে রিলিজ নিয়ে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন তিনি তারেক রহমানের বাসায় থেকেই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ডা. জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া তারেক রহমানের বাসায় অবস্থানকালে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলবে এবং মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানিয়েছেন, তারেক রহমানের বাসায় খালেদা জিয়া পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান ও তিন নাতনির সঙ্গে থাকবেন। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মায়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান।
গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই তিনি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি সমস্যা, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো একাধিক জটিলতায় ভুগছেন। তার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড।
চিকিৎসার জন্য এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়। কোভিড মহামারি চলাকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
বিএনপি তখন অভিযোগ করেছিল যে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে যান।
দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যজটিলতার কারণে খালেদা জিয়া বর্তমানে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন। চিকিৎসকদের নির্দেশনায় এবং পরিবারের সান্নিধ্যে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তার দল ও সমর্থকেরা আশাবাদী, তিনি চিকিৎসা শেষে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসবেন।