Logo

আন্তর্জাতিক    >>   শর্ত ভঙ্গ হলেই যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করবে ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প

শর্ত ভঙ্গ হলেই যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করবে ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প

শর্ত ভঙ্গ হলেই যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করবে ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে আবারও গাজায় যুদ্ধ শুরু করবে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএন কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ঘোষনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় না রাখলে ইসরায়েলি বাহিনী ‘আমার নির্দেশ পেলেই’ পুনরায় যুদ্ধ শুরু করবে। যদি ইসরায়েল সেখানে গিয়ে হামাসকে ধ্বংস করতে চায়, তারা সেটা করতে পারবে। তারা শুধু আমার নির্দেশের অপেক্ষা করছে।

সমস্বরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানে, তাহলে ইসরায়েল গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করবে। ক্যাটজের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করবে ইসরায়েল এবং হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত করা হবে।

গত সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগার থেকে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করেছে। এর আগে হামাস ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে সাতজনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এ দুটি বিষয়কে অন্যতম বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগের দিন ট্রাম্প হামাসকে নিরস্ত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, পরিকল্পনার শর্তগুলো খুব স্পষ্ট। শুধু বন্দিদের মুক্তি নয় হামাসকে তাদের অস্ত্র ছাড়তে হবে। দ্বিতীয়ত, গাজায় কোনো অস্ত্র কারখানা নেই তা নিশ্চিত করতে হবে; কোনো অস্ত্র সরবরাহ গোপনে আসছে না তাও নিশ্চিত করতে হবে। তবে নিরস্ত্রকরণ কোনো ভাবেই সম্ভব না বলে এরই মধ্যে মন্তব্য করে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা। সূত্র: জাগোনিউজ