গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক, নিউইয়র্ক, আমেরিকা:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
গত ১৬ জুলাই, বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং আগামী রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান জানানো হয়।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ ২০টির বেশি সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্কে এটি অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক জনসমাগম।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা প্রদীপ রঞ্জন কর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নূরান নবী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, এডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার, সোলাইমান আলী, অধ্যাপক মমতাজ শাহানাজ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহিন আজমল, আবুল কাশেম ভূঁইয়া, শাহানা রহমান, কিবরিয়া জামান, নুরুজ্জামান সরদার, জামাল হোসেন, ইবাদ চৌধুরী, এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক তুষার, আবদুল কাদের মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির নামে এনসিপি, জামায়াত, বিএনপি ও ২৪-এর আগস্টের সন্ত্রাসীরা দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে। তারা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিডিআর ব্যবহার করে নিরস্ত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে। এ হামলায় বেসরকারিভাবে অন্তত ১৫ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
সমাবেশস্থলে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যেমন – ওয়াকার ওয়াকার সামলা তোর রাজাকার, গোপালগঞ্জে লাশ কেন খুনি ইউনূস জবাব দে, গোপালগঞ্জে হামলা কেন খুনি ইউনূস জবাব দে, একটা গুলি চললে লক্ষ্য গুলি চলবে ইত্যাদি।
বক্তারা বলেন, ১৬ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তারা বলেন, এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং রবিবারের হরতাল কর্মসূচিকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে হবে।

















