Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই

Progga News Desk:

খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল ইস্টার সোমবার ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।

দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশ থেকে আসা প্রথম পোপ ছিলেন তিনি। ক্যাথলিক চার্চের পোপ হওয়ার পর অনেক কিছুই প্রথমবার করলেও ফ্রান্সিস কখনো চার্চের সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ করেননি। এরপরও পুরোনোকে আঁকড়ে ধরা ঐহিত্যবাদীদের মধ্যেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন।

সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া তৃতীয় গ্রেগরি ৭৪১ খ্রিস্টাব্দে মারা যাওয়ার পর থেকে রোমে ইউরোপের বাইরে আর কোনো বিশপ ছিলনা। সেন্ট পিটারের সিংহাসনে নির্বাচিত প্রথম জেসুইটও ছিলেন তিনি। ঐতিহাসিকভাবেই জেসুইটদের রোম সন্দেহের চোখে দেখতো। জেসুইট বলতে এখানে যিশু খ্রিস্টের সোসাইটির সদস্যকে বুঝায় যারা অন্যদের সাহায্য করার জন্য, ন্যায়বিচার ও সবকিছুতে বিধাতাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নিবেদিত।

ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্ট ছিলেন ১৬০০ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকারী প্রথম পোপ। ফলে প্রায় এক দশক সময়ের মধ্যে ভ্যাটিকান সিটিন দুইজন পোপের দেখা পেয়েছে।

২০১৩ সালে আর্জেন্টিনার কার্ডিনাল বারগোগ্লিও পদ থেকে তিনি যখন পোপ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তখন তার বয়স ছিল ৭০ বছর। অনেক ক্যাথলিকই সে সময় ধারণা করেছিলেন যে নতুন প্রধান যাজক বা পোপ বয়সে তরুণ হবেন।

যিনি একইসাথে যৌন বিষয়ে কট্টর দৃষ্টিভঙ্গিসহ রক্ষণশীলদের এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে উদার অবস্থানের কারণে সংস্কারপন্থিদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন। এটা আশা করা হয়েছিল যে, তার অরক্ষণশীল চিন্তা-ভাবনা ভ্যাটিকানকে এবং এর মিশনকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।

কিন্তু ভ্যাটিকান আমলাতন্ত্রের কারণে ফ্রান্সিসের কিছু সংস্কার প্রচেষ্টা প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২২ সালে মারা যাওয়া তার পূর্বসূরি তখনও রক্ষণশীলদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন।

ফ্রান্সিস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি সবকিছু ভিন্নভাবে করবেন। পোপের সিংহাসনে বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্ডিনাল গ্রহণ করেছিলেন। খবর বিবিসির