
চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত গেলো বোয়িংয়ের প্লেন
Progga News Desk:
চীনের শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের জন্য নির্মিত বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের একটি প্লেন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের কারণেই প্লেনটিকে রোববার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, এটি চীনের ঝোউশানে বোয়িংয়ের কমপ্লিশন সেন্টারে ডেলিভারির আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতির অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি প্লেনের মধ্যে একটি।
৭৩৭ ম্যাক্স বোয়িংয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত মডেল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফেরত আসা বোয়িং শিল্পের পুরনো ‘ডিউটি-ফ্রি’ ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের ওপর প্রায় পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও পূর্ববর্তী বাণিজ্য উত্তেজনার ধকল কাটিয়ে ওঠার মধ্যেই আবার এই ধাক্কা এলো।
বিশ্লেষকদের মতে, শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে বহু বিমানের ডেলিভারি অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। অনেক এয়ারলাইন্স প্রধানই জানিয়েছেন, শুল্ক দিতে হলে তারা আপাতত বিমান গ্রহণ স্থগিত রাখবেন।
চলতি মাসে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর প্রাথমিক শুল্ক ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করে। তার আগে চীন আমেরিকান পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। এরপরে হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চীনের কিছু পণ্যে ২৪৫ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হতে পারে বলে জানানো হয়। ফলে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের ওই প্লেনটি চীনা কোনো এয়ারলাইন্সের জন্য নেওয়া এখন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিয়াটলের বোয়িং ফিল্ডে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে। এতে শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের রঙ বা ‘লাইভারি’ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
৫ হাজার মাইলের বেশি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায়। পথিমধ্যে সেটি গুয়াম ও হাওয়াইতে জ্বালানি নেওয়ার জন্য বিরতি দেয়।
এদিকে, প্লেনটি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত কারা নিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে বোয়িং বা শিয়ামেন এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: রয়টার্স