ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার জন্য সবাই দায়ী: গভর্নর আহসান এইচ মুনসুর
- By Jamini Roy --
- 29 December, 2024
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে অর্জন যেমন রয়েছে, তেমনি ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে, এই ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোনো গোষ্ঠী দায়ী নয়, বরং এর দায় সবারই রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ব্যাংকিং খাত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বিকশিত হবে। তবে, এ উন্নয়নের পথে, আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এর গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, “ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে, আমরা যতদূর এগোতে পারতাম, তা পারিনি। আমাদের অনেক অর্জন সত্ত্বেও, অনেক ব্যর্থতাও রয়েছে।”
তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের উন্নয়ন সাধিত হলেও, কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তিনি আরও যোগ করেন, “ব্যাংকিং খাতের এই ব্যর্থতার মূলে একক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তিত্ব নয়, বরং সবাই যদি নিজেদের জায়গা থেকে আরও মনোযোগী ও আন্তরিকভাবে কাজ করত, তাহলে হয়তো এসব ব্যর্থতা এড়ানো সম্ভব হতো।”
গভর্নর বলেন, “আমাদের উচিত আত্মবিশ্লেষণ করা এবং জানা উচিত কোথায় কোথায় আমরা ব্যত্যয় ঘটিয়েছি। আমরা যদি নিজেদের জায়গা থেকে আরও কাজ করতাম, তবে খাতটি আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারত।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যাংকিং খাতের যে সমস্ত ব্যর্থতা রয়েছে, তার জন্য একক কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান দায়ী নয়। সবাইকে একসাথে আরও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।”
গভর্নর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “ব্যাংকিং খাত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত হবে।” তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “যেহেতু খাতটি বিকশিত হবে, সেহেতু আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এটি করতে না পারি, তাহলে নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে।”
এছাড়া, গভর্নর পরামর্শ দেন যে, ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যত উন্নয়নের পথে, যদি সুরক্ষা ব্যবস্থা যথাযথভাবে রাখা না যায়, তবে তা খাতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হবে জনগণের আস্থা অর্জন করা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা, যাতে তারা ব্যাংকিং সিস্টেমের প্রতি আরও আস্থা রাখতে পারে।”
ড. আহসান এইচ মুনসুরের বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ব্যাংকিং খাতে ব্যর্থতার জন্য একক কোনো গোষ্ঠী দায়ী নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। ভবিষ্যতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, এই খাত আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।