বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান: "নতুন প্রজন্মের হাতে দেশের নেতৃত্ব"

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, "এই দেশ নতুন প্রজন্মের দেশ। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। ভবিষ্যতে এই নতুন প্রজন্মই দেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।" বুধবার, রাজধানী ঢাকার শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান জানান, নতুন প্রজন্ম লেখাপড়া শেষ করার পর দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব নেবে এবং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মঈন খান আরও বলেন, “তারা দেশের উন্নয়নে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং ন্যায়বিচারের পথে কাজ করবে। যারা এখনো পড়াশোনা শেষ করেননি, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবে এবং দেশ পরিচালনার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে।” তিনি ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দেন।

বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান নির্বাচনী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কখনো থেমে থাকতে পারে না। "নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ আরও জরুরি সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে," বলেছিলেন তিনি। মঈন খান জানান, বিগত তিনটি নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি এবং তারা এখন ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মঈন খান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, গত দেড় দশক ধরে দেশব্যাপী স্বৈরাচারী শাসন বিরাজ করছে। "এটি বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং কথা বলার অধিকারকে হরণ করেছে।" তিনি জানান, বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে এই শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে আসছে।

মঈন খান আরও স্মরণ করিয়ে দেন ১৯ জুলাই নরসিংদীতে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ ঘটনাকে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা জনতা জেল ভেঙে বের হয়ে আসে, যার ফলে ৩৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৪ জন ছাত্র ছিলেন যারা জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, "কেন তারা জীবন দিয়েছে?" তার উত্তর ছিল, "বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে হবে এবং সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।"

এই সময়, বিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা মঈন খানের সাথে একমত পোষণ করে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করেন।

মঈন খানের এই বক্তব্য নতুন প্রজন্মের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা ছিল, যা তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে।