Logo

অর্থনীতি    >>   উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আহ্বান

উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আহ্বান

উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আহ্বান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ ও সৃজনশীলতাকে আরও প্রসারিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দেবে। বুধবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, "মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। মানুষের মনের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার ক্ষমতা অসীম।" তিনি বাণিজ্য মেলাকে সৃজনশীলতা ও নতুন উদ্যোগ প্রদর্শনের একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, দেশের রফতানি বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করতে নতুন পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি সেবা খাতের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা এ বছর ফার্নিচারকে "বর্ষপণ্য" হিসেবে ঘোষণা করেন এবং উল্লেখ করেন, এটি দেশের রফতানি সম্ভাবনা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে বর্ষপণ্য ঘোষণার পাশাপাশি "এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার" হিসেবে উদ্যোক্তাদের সম্মানিত করার প্রস্তাব দেন তিনি। তার মতে, "পণ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি উদ্যোক্তাদেরও স্বীকৃতি দিতে হবে।"


আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও দর্শনার্থী সুবিধা

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। প্রথমবারের মতো অনলাইন বরাদ্দ পদ্ধতি চালু করায় স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।

দর্শনার্থীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় প্রবেশ প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস এবং উবারের বিশেষ ছাড় দর্শনার্থীদের যাতায়াতে সুবিধা দিচ্ছে।

মেলায় বিভিন্ন সম্ভাবনাময় পণ্যভিত্তিক সেমিনার, স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, এবং ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রয়েছে:

প্রযুক্তি কর্নার: তরুণদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন।

সিনিয়র সিটিজেন কর্নার: বয়স্ক দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামের জায়গা।

শিশু পার্ক: শিশুদের বিনোদনের জন্য বিশেষ আয়োজন।

মেলায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো:

জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে।

ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন: তরুণ প্রজন্মকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ।

মাসব্যাপী চলমান এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজন দেশের উদ্যোক্তা এবং রফতানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। তার মতে, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert