প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই সংশোধন: এনসিটিবি চেয়ারম্যান
- By Jamini Roy --
- 01 January, 2025
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন যে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মোট ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করা হয়েছে। সংশোধিত এসব বই আজ থেকেই এনসিটিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
চেয়ারম্যান বলেন, "এবারের শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা সময়মতো পাঠ্যপুস্তক পাবে। সংশোধিত বইগুলো আরও কার্যকরী এবং মানসম্পন্ন হবে।"
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, বই বিতরণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
- ৫ জানুয়ারির মধ্যে: প্রাথমিক স্তরের বাকি সব বই এবং মাধ্যমিকের ৮টি বই বিতরণ শেষ হবে।
- ১০ জানুয়ারির মধ্যে: মাধ্যমিক দশম শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।
- ২০ জানুয়ারির মধ্যে: প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো হবে।
এ বছর প্রায় ৪১ কোটি বই মুদ্রণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে ৬ কোটি বই ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৪ কোটি বই বিতরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
এনসিটিবি চেয়ারম্যানের মতে, নতুন পাঠ্যবইগুলোর মানোন্নয়ন এবং পাঠ্যক্রমে আধুনিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এই সংশোধন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান আরও উন্নত করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "বইগুলোতে থাকা ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। শিক্ষার মান বজায় রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।"
বই বিতরণ উৎসব নিয়ে তিনি বলেন, "বই উৎসবের নামে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় খরচ হয়ে যায়। এর পরিবর্তে আমরা বইয়ের গুণগত মান উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।"
আজ (১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা নতুন বই সংগ্রহ করতে স্কুলে উপস্থিত হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বই বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলছে। সংশোধিত পাঠ্যবই পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত।
পরিমার্জিত বইগুলো এনসিটিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে বই ডাউনলোড করতে পারবেন। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আরও সহজে বই প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।
শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে এনসিটিবি নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মতামত নিয়ে ভবিষ্যতে পাঠ্যবই উন্নয়ন কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, "শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমকে আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাই।"