Logo

আন্তর্জাতিক    >>   সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আবু কাসরার নিয়োগ

সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আবু কাসরার নিয়োগ

সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আবু কাসরার নিয়োগ

সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জেনারেল মারহাফ আবু কাসরাকে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির নতুন প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়, যা বুধবার, (১ জানুয়ারি ২০২৫)  সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়।

সানার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, “সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জেনারেল কমান্ড মারহাফ আবু কাসরাকে মনোনীত করেছে।” মারহাফ আবু কাসরা একজন প্রাক্তন কৃষি অর্থনীতিবিদ, যিনি পাঁচ বছর ধরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সশস্ত্র শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

গত ৮ ডিসেম্বর উত্তর সিরিয়া থেকে শুরু হওয়া এক বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই বিদ্রোহ রাজধানী দামেস্কে গিয়ে শেষ হয়, যা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

৪১ বছর বয়সি মারহাফ আবু কাসরা এইচটিএস বিদ্রোহীদের সামরিক কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। গত ১৭ ডিসেম্বর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এইচটিএস তার সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করবে এবং জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে একীভূত হবে। তিনি অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকেও একই পথে চলার আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি হামলা এবং ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ রোধ করতে একটি সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন।

মোহাম্মদ আল-বশিরের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছে। এই সরকার আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আল-বশির পূর্বে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব অঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সরকার পরিচালনা করতেন, যা ‘উদ্ধারকর্তা সরকার’ নামে পরিচিত।

সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত আধা স্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলোর উপর তাদের কর্তৃত্ব বিস্তারের পরিকল্পনা করছে। এতে করে সিরিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এইচটিএস দীর্ঘদিন ধরে বাশার আল-আসাদের শাসন উৎখাতের জন্য লড়াই করে আসছিল। কিন্তু নতুন প্রশাসনের অধীনে তারা বিদ্রোহ থেকে সরে এসে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় বাহিনী গঠনের পথে অগ্রসর হচ্ছে।

এই পরিবর্তন সিরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বিদ্রোহীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সিরিয়া একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার করা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করা। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

সিরিয়ার এই পরিবর্তন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য স্থাপন এবং দেশকে একটি স্থিতিশীল পথে নিয়ে যেতে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert