দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: জেজু এয়ার দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৯
- By Jamini Roy --
- 29 December, 2024
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় সময় ৯টায় অবতরণের সময় জেজু এয়ারের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইটটিতে থাকা ১৮১ জনের মধ্যে মাত্র দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১৭৯ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির দমকল সংস্থা।
জেজু এয়ারের ফ্লাইট নম্বর সেভেনসি-২২১৬১ থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসছিল। অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। উদ্ধারকাজে নিযুক্ত ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জীবিত পাওয়া দুজন ছাড়া বাকি আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক দ্রুত দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তাদের সহায়তায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনবল, স্বাস্থ্যসেবা ও সরঞ্জাম সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
চোই সাং-মোক মাত্র কয়েকদিন আগে, গত শুক্রবার, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই তার নেতৃত্বে এই বড় সংকট মোকাবিলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, সরকার নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এবং বিবিসি জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিতদের খোঁজে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। শোকের এই সময়ে সরকারের তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রতিফলন দেশটির সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তুলে ধরবে।