Logo

অর্থনীতি    >>   ভারত থেকে আরও ৯৫০০ টন চাল পৌঁছেছে

ভারত থেকে আরও ৯৫০০ টন চাল পৌঁছেছে

ভারত থেকে আরও ৯৫০০ টন চাল পৌঁছেছে

বাংলাদেশের চাল সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সুসংহত করতে ভারত থেকে আমদানি করা আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। খাদ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে এই চাল আমদানি করা হয়েছে, যা দেশের খাদ্য মজুত ও বাজার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৫) ভারত থেকে আমদানি করা চাল এমভি ইয়াং সেং ১৫১ নামের একটি জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

জাহাজে আসা চালের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এর নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হওয়ায় দ্রুত চাল খালাসের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ৯টি পৃথক প্যাকেজের আওতায় চাল আসছে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৯ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের চাল আমদানি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে, অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় পরিমাণ চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।

চাল আমদানির এই ধারা চালিয়ে গেলে দেশের বাজারে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চলতি অর্থবছরে চালের চাহিদা মেটাতে সরকার পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করতে চাইছে।

এছাড়া, আগামীতে যদি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয় বা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাহত হয়, তবে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকেও চাল আমদানি করা হতে পারে। খাদ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, সরকারি উদ্যোগের ফলে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।