Logo

চাকরি    >>   রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার আবেদন আপিল বিভাগে

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার আবেদন আপিল বিভাগে

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার আবেদন আপিল বিভাগে

দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্বিবেচনার জন্য বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এই আবেদন দাখিল করেন। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের মামলাটি শুনানির জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি আইটেম-১০ এ রাখার নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ওই রায়ে বলা হয়, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে শীর্ষ স্থানে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

এই রায়ের ফলে জেলা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত হয়ে ১৬ নম্বরে আসে, যা সচিবদের সমমর্যাদার। অতিরিক্ত জেলা জজ এবং সমমর্যাদার কর্মকর্তারা স্থান পান ১৭ নম্বরে।

রায়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী কাজে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এই ক্রম প্রযোজ্য হবে না।

১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর "ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স" তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। পরে ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সেই প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে আট দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে বিচার বিভাগের গুরুত্ব বাড়ানোর কথা বলা হয়।

জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে বিচার বিভাগের মর্যাদা পুনর্বিবেচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আবেদনটি বিচার বিভাগের কার্যক্ষমতা ও স্বাধীনতার বিষয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert