ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়াল সরকার
- By Jamini Roy --
- 03 January, 2025
সরকার সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য গঠিত ছয়টি কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর গঠিত এই কমিশনকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কমিশনটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
একইদিন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আলাদা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কমিশন ৩ অক্টোবর গঠন করা হয়েছিল এবং একই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। এগুলো হলো:
- সংবিধান সংস্কার কমিশন
- নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
- পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন
- বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন
- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন
- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
প্রথমে প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা ছিল, ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। কিন্তু নির্ধারিত ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে কোনো কমিশনই প্রস্তাব জমা দিতে পারেনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ছয়টি কমিশনই মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। এ কারণে তাদের জন্য নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, তাদের প্রতিবেদন ৩ জানুয়ারি জমা দেওয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই দিনে তাদের প্রতিবেদন দেবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। অন্যদিকে, বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে গঠিত এই ছয়টি কমিশন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে কাজ করছে। সময়সীমা বাড়ানোর মাধ্যমে সরকার আশা করছে, কমিশনগুলো তাদের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করবে এবং প্রস্তাব জমা দেবে।
এই সিদ্ধান্ত দেশে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।