যমুনা রেলওয়ে সেতুতে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
- By Jamini Roy --
- 05 January, 2025
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু যমুনা রেলওয়ে সেতুতে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতু পারাপার করে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড় এবং পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চলতে শুরু করে। চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সেতুর সক্ষমতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে গতি বাড়িয়ে পরীক্ষা চালানো হয়।
১০টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় ধাপে ট্রেন দুটি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে উঠে এবং ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব থেকে পশ্চিম পাড়ে ট্রেনটি সফলভাবে শেষ প্রান্ত অতিক্রম করে। চূড়ান্ত ধাপে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলানো হয়।
চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, "আজকের পরীক্ষামূলক সফলতার মাধ্যমে আমরা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলাম। কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বিশাল টিমের প্রচেষ্টার পর এটি সম্ভব হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলাচল করবে এই সেতুতে, যা আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়।"
তিনি আরও বলেন, "এই প্রকল্প শুধু রেলপথ উন্নয়ন নয়, বরং এটি দেশের অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে। সেতুটি রেল যোগাযোগের গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে।"
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এই রেলওয়ে সেতু দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এটি দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রেলপথের সংযোগ স্থাপনকে আরও কার্যকর এবং দ্রুত করবে।
সেতুর মাধ্যমে শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগেও একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। এটি দেশের রেলওয়ে অবকাঠামো উন্নয়নের একটি অন্যতম মাইলফলক।
যমুনা রেলওয়ে সেতুতে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল দেশের রেল যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল, আধুনিক এবং নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সেতু কেবল একটি প্রকৌশল বিস্ময় নয়, বরং এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হবে।