তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা খারিজ, বহাল রইল হাইকোর্টের রায়
- By Jamini Roy --
- 05 January, 2025
এক এগারোর সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলা খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দেন, যা তারেক রহমানের জন্য আইনি বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ, এবং ধানমন্ডি থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। একই বছরের ৭ মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং অভিযোগ উঠে যে তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছিল।
গ্রেফতারকালে তার শরীরিক ক্ষতি হয়, যা তার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে। পরে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। এরপর থেকে সেখান থেকেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
২০০৭ সালের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মামলার প্রেক্ষাপট পাল্টে যায়। ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে দেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলেও সেই অর্থ কোথায় গেছে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আইনজীবীরা আদালতে জানান, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, "এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সরকার তারেক রহমানকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এই মামলা করেছিল।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও ১৮-১৯টি মামলা রয়েছে। তবে সেগুলোও আইনি প্রক্রিয়ায় খারিজ হবে বলে আমরা আশা করি।"
মামলাগুলো খারিজ হলে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবে তারেক রহমানের আইনজীবীরা বলছেন, তার দেশে ফেরা কেবল মামলার নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করছে না; এটি রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপরও নির্ভরশীল।