Logo

সাহিত্য সংস্কৃতি    >>   পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা: সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা: সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা: সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শীতের প্রকোপে কাঁপছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার তেঁতুলিয়ায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এই মৌসুমের তীব্র শৈত্যপ্রবাহের একটি বড় উদাহরণ। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এসে এই ঠান্ডা মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগের দিন বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তা ৮ ডিগ্রির ঘরে নেমে আসায় শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টায় সূর্যের দেখা মেলায় মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "আজ আকাশে মেঘ ছিল না, ফলে কুয়াশার পরিমাণও তুলনামূলক কম ছিল। দিনের শুরুতে ঠান্ডা থাকলেও সূর্যের মুখ দেখা গেছে, যা কিছুটা উষ্ণতা এনে দিয়েছে।"

তীব্র ঠান্ডার কারণে জেলায় গত দুই দিন ধরে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ এবং পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু শুক্রবার সকালে সূর্যের আলো পেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে অনেকেই বের হয়েছেন।

স্থানীয়দের মতে, বছরের এই সময়টায় তেঁতুলিয়া সবসময়ই দেশের অন্যতম শীতল স্থান হিসেবে পরিচিত। এবছরও সেই ধারা বজায় থাকছে। বিশেষত সকাল ও রাতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে দিনের বেলা রোদ থাকলে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পান।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত বয়স্ক ও শিশুরা এই ঠান্ডার কারণে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় এখনও যথেষ্ট নয় বলে স্থানীয়রা জানান।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতেও তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে। শীত মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert