নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্বগ্রহণে প্রস্তুত শপথ রবিবার
- By Jamini Roy --
- 22 November, 2024
বাংলাদেশের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার নির্বাচন কমিশনার আগামী রবিবার (২৪ নভেম্বর) শপথ গ্রহণ করবেন। শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বেলা দেড়টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাদের নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। চারজন নির্বাচন কমিশনার হলেন:
- মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার – অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)
- মো. আবদুর রহমানেল মাসুদ – জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত)
- তহমিদা আহমেদ – যুগ্ম-সচিব (অবসরপ্রাপ্ত)
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন দীর্ঘদিন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের আগে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ২৯ অক্টোবর। এদিন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। রাষ্ট্রপতি সেই তালিকা থেকে একজনকে সিইসি এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বেছে নেন।
শপথ গ্রহণের পর নতুন কমিশন দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
নবনিযুক্ত সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার কমিশনের লক্ষ্যের কথা স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের কমিশন জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।”
নতুন কমিশন গঠনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের এক মাস পর, ৫ সেপ্টেম্বর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করে। ফলে নতুন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে নতুন প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ গঠনে তাদের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়, তা সময়ই বলে দেবে।