কাতার জানাল গাজায় কখন শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি
- By Jamini Roy --
- 18 January, 2025
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হতে যাচ্ছে রোববার, ১৯ জানুয়ারি, গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে। কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাতার সরকারের মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী, গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। সকল পক্ষকে যুদ্ধবিরতি সফলভাবে কার্যকর করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, গাজা অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তিনটি ধাপে এটি কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে, যেখানে সকল ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন শুরু হবে এবং মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই কাজ পরিচালিত হবে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইসরাইলের মন্ত্রিসভার মধ্যে কিছু কট্টরপন্থি নেতার তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও, ২৪ জন মন্ত্রী চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং আটজন বিরোধিতা করেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই চুক্তি অনুমোদন করেছেন, যা ৪৬০ দিন ধরে চলা সংঘাতের পর গাজার মানুষের জন্য নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।
মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংঘাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গৃহীত হচ্ছে, যা গাজা অঞ্চলের মানুষের জন্য শান্তি এবং নিরাপত্তা আনতে পারে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি যদি সফলভাবে কার্যকর হয়, তবে এটি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।