Logo

আন্তর্জাতিক    >>   বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন

বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন

বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন

প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের ঘাতক দালাল ও রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের বিপরীতে অবস্থিত ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

কর্মসূচি চলাকালে ঘৃণাস্তম্ভের পেছনের দেয়ালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী চৌধুরী মঈনুদ্দীন এবং অপারেশন সার্চলাইটের অন্যতম পরিকল্পনাকারী খাদিম হোসেন রাজার ছবি ঝোলানো হয়। এছাড়া পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে গোলাম আজমের বৈঠকের দৃশ্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক রাজাকার বাহিনীর বিভিন্ন ছবিও সেখানে প্রদর্শন করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও জনতা এসব ছবিতে জুতা নিক্ষেপের মাধ্যমে তাদের ঘৃণা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ‘নিঃশব্দ ঘৃণা’ শিরোনামের একটি গণস্বাক্ষর বোর্ডে স্বাক্ষরের মাধ্যমেও অনেকে প্রতিবাদ জানান।

এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সাবেক জিএস প্রার্থী ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ গ্রুপে পোস্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরাফাত চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা জাতির সামনে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের এই কালো ইতিহাস ভুলে না যায়, সেই বার্তা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ছাত্র ইউনিয়নের কলা ভবন শাখার তৎকালীন সভাপতি সাদিকুর রহমান এবং উর্দু ও ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব হাবিলদার এই ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’ নির্মাণ করেন। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এ কে খন্দকার স্তম্ভটির উদ্বোধন করেন। ২০০৮ সালে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হলেও পরবর্তীতে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে এখানে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করা হয়।সূত্র: ডেইলি মানবকণ্ঠ