অন্যায়ে বন্দী একটি জাতি: ইউনূসের ছদ্ম-শাসনে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অপমৃত্যু
নয়ন বিশ্বাস রকি, প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে যে শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে, তা যেন এক নব্য-নির্যাতনমূলক শাসনের চেহারা ধারণ করেছে। মিথ্যা মামলা, বিচারহীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় দমন এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ—এসবই আজকের বাংলাদেশের নিত্যদিনের চিত্র।
একজন নিরপরাধ নাগরিকের জামিন পাওয়া এখন যেন সৌভাগ্যের বিষয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পর্যন্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়ে কোর্টে দাঁড়ানো রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী আজ কারাগারে অমানবিক নির্যাতনের শিকার।
উচ্চ আদালত জামিন দিলেও, জেলগেটে নতুন মামলা দিয়ে আবারও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে—এই চক্রাকার দমননীতি এক গভীর রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রেরই নামান্তর। সত্য বলার সাহস দেখানো সাংবাদিকরা চাকরি হারাচ্ছেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারুকীর সাথেও এক সাংবাদিকের ঘটনার পরিণতি সেই বাস্তবতারই প্রতিফলন।
নারীর অধিকার নিয়েও চলছে ভয়াবহ নিপীড়ন। যারা নারীর পক্ষে কথা বলেন, তাদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে ঘরে বন্দি রাখা হচ্ছে।
অর্থনীতির চিত্রও দিনকে দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন। শেয়ারবাজারে দুর্নীতি ও লুটপাট, বিশ্বব্যাংকের অনাস্থা—সব মিলে অর্থনীতি আজ ধ্বংসপ্রায়। গবেষণায় উঠে এসেছে, অচিরেই প্রায় ৩০ লাখ মানুষ অতিদারিদ্র্যের মধ্যে চলে যাবে।
জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে ‘মানবিক করিডর’-এর নামে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভবিষ্যৎ নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে—এটি কি স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ নাকি একটি নতুন পরাধীন ভূখণ্ড?
একসময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমি দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকতে চাই না।” আজ সেই উক্তিই সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি কঠিন ও ব্যঙ্গাত্মক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ আজ বুঝতে পারছে—বিদেশে যে ‘মিথ্যা বার্তা’ ছড়ানো হচ্ছে, তা মূলত নিজের ক্ষমতা ও স্বার্থ রক্ষার কৌশল। এখন সময় এসেছে—মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে পুনরুদ্ধার করে, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার। জাতির স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার রক্ষায় এখনই একসাথে দাঁড়ানোর সময়।
নয়ন বিশ্বাস রকি ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা