Logo

চাকরি    >>   অবশেষে পদত্যাগ করলেন পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন

অবশেষে পদত্যাগ করলেন পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন

অবশেষে পদত্যাগ করলেন পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনসহ কমিশনের বেশিরভাগ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে পিএসসির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

এ পদত্যাগের পেছনে আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের দাবি। গত শনিবার, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে সরকারের কাছে পিএসসি সংস্কারের দাবি জানান এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে অনুরোধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “এই সপ্তাহের মধ্যে পিএসসি সংস্কার করে চাকরিপ্রত্যাশীদের জব এক্সামগুলো শুরু করতে হবে। যে তরুণ প্রজন্ম এই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক, তাদের প্রায়োরিটির কথা ভুলে গেলে চলবে না।”

সারজিস আলমের বক্তব্যের মাত্র চারদিন পর মঙ্গলবার সোহরাব হোসাইনসহ ১১ জন সদস্য পিএসসি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সোহরাব হোসাইন ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পিএসসি চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন, এবং তাঁর মেয়াদ আগামী বছর ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে পিএসসি চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগের দাবি সম্প্রতি উঠেছিল।

পদত্যাগ করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সাবেক অধ্যাপক উত্তম কুমার সাহা, সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম, সাবেক সচিব খলিলুর রহমান, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মাকছুদুর রহমান, সাবেক সচিব নাজমানারা খাতুন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

তবে তিনজন সদস্য, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব ও এন সিদ্দিকা খানম, এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

পিএসসি একটি সাংবিধানিক সংস্থা, যা সরকারি চাকরি ও পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সংস্থা সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা এবং আপিলের মতো বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সোহরাব হোসাইন চাকরি জীবনে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁর পদত্যাগের পর নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা পিএসসি সংস্কারের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

এখন পিএসসি একটি নতুন নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিশন সংস্কারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।