Logo

আন্তর্জাতিক    >>   মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে,ভারত যা বলল

মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে,ভারত যা বলল

মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে,ভারত যা বলল

ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুই এজেন্ট মালদ্বীপের বিরোধী দলকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে, ভারত সরকার এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।

৩০ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন পোস্ট একটি প্রতিবেদনে জানায়, মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকে মনোনিবেশ করার ইঙ্গিত দেন। তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এমনকি, তিনি সম্ভাব্য সামরিক সহায়তা চুক্তির কথা পর্যন্ত উল্লেখ করেছিলেন।

এতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ মুইজ্জুকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের চেষ্টা শুরু করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে, ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মালদ্বীপের বিরোধী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন।

‘ডেমোক্র্যাটিক রিনিউয়াল ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি অভ্যন্তরীণ নথি হাতে পায় ওয়াশিংটন পোস্ট, যেখানে মুইজ্জুকে অভিশংসনের জন্য একটি বিস্তারিত কৌশল ও রূপরেখা পাওয়া যায়। পরিকল্পনায় মুইজ্জুর দলের কয়েকজন সদস্যসহ ৪০ জন সংসদ সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। আরও অনেকেই, যেমন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং অপরাধী চক্র, অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।

এই ষড়যন্ত্রের আনুমানিক ব্যয় ছিল ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় ৮৭ মিলিয়ন মালদ্বীপ রুপি। এই অর্থ ভারত থেকে সরবরাহ করা হতে পারতো বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু, কয়েক মাসের গোপন আলোচনা সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রকারীরা পর্যাপ্ত সংসদীয় সমর্থন লাভ করতে ব্যর্থ হন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন যে, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের দ্বারা প্রকাশিত এই তথ্যগুলো ভারতের বিরুদ্ধে একটি কঠোর শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলস্বরূপ। তিনি আরও বলেন, "এই সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণের কাজ আপনাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের কাছে এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।"

এদিকে, ভারতের শঙ্কা ছিল যে, মুইজ্জুর ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে মালদ্বীপে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই, ষড়যন্ত্রের জন্য অর্থায়ন বা সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের এমন প্রতিক্রিয়া এবং তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক খেলা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

মালদ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অনেকটাই উত্তপ্ত, এবং ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert