সিরিয়ায় ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ সফর: ইউরোপীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি
- By Jamini Roy --
- 04 January, 2025
৩ জানুয়ারি, শুক্রবার, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রথমবারের মতো সিরিয়ার বর্তমান নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই প্রথম সিরিয়া সফর করলেন দুই ইউরোপীয় নেতা।
বেশ কিছু বছরের পর, সিরিয়ার নতুন রাজনৈতিক অবস্থান এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারোত এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক দামেস্কে পৌঁছান। এই বৈঠকে, সিরিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফ্রান্স ও জার্মানি সিরিয়ার নতুন সরকারে কুর্দি এবং নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি, ইসলামিক কাঠামো না থাকার বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, সিরিয়ায় ইউরোপের সমর্থন পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেন, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে তবে এটি নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার ওপর। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার জনগণ অনেক বছর ধরে নিপীড়ন, যুদ্ধ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। ইউরোপ এখন শান্তিপূর্ণ ও মুক্ত সিরিয়া গড়তে সহায়তা করতে চায়।
ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগার পরিদর্শন করেন, যেখানে বন্দিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সিরীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তাদের এই নির্যাতনের বিস্তারিত জানান।
এদিকে, সিরিয়ার হোমস শহরে বাশার আল-আসাদের সমর্থনকারী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন হায়াত তাহরির-আল শামের (এইচটিএস) যোদ্ধারা, যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কিছুদিন ধরে সন্ত্রাসী সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে সিরিয়া জয়ের পর, এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও জোরদার করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এই সফর সিরিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান এবং ভবিষ্যত নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর নতুন কূটনৈতিক পদক্ষেপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।