তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৩২, নেপাল-ভারতসহ কাঁপল বিস্তীর্ণ এলাকা
- By Jamini Roy --
- 07 January, 2025
তিব্বতের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সিনহুয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিব্বতের জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (USGS) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.১ বলে জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের লেবুচি থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, এবং এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার। ইউএসজিএস জানিয়েছে, নেপালের পাশাপাশি ভূমিকম্পটি ভারত, ভুটান, চীন এবং বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পে ৩২ জনের মৃত্যু এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও পরে এই সংখ্যা বেড়ে যায়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি ভূমিকম্প-পরবর্তী ধ্বংসাবশেষের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, ভেঙে পড়া বাড়ি এবং ধ্বংসস্তুপের মাঝে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
নেপালেও স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারতের উত্তরাঞ্চল, ভুটান এবং বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকাতেও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তীব্র শীত এবং দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল উদ্ধার কাজে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। চীনের সরকারি সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় প্রশাসন একযোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিব্বত এবং নেপালের পার্বত্য অঞ্চলগুলোর ভূতাত্ত্বিক অবস্থান ভূমিকম্প প্রবণ। অঞ্চলটি ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত, যা প্রায়শই এই ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তিব্বতের এই ভূমিকম্প স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এক বড় বিপর্যয়। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।