পুঁজিবাজার সংকট সমাধানে সংস্কারের উদ্যোগ, নতুন নীতিমালা নয়
- By Jamini Roy --
- 07 January, 2025
পুঁজিবাজারে চলমান সংকট নিরসনে নতুন কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না। বরং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এর ফলে দেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়তে শুরু করে, লেনদেনেও উত্থান লক্ষ করা যায়।
২৭টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটেগরিতে পাঠানো এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদের মুখে তা পুনর্বহাল রাখার সিদ্ধান্তের পর পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়ে লেনদেনের পরিমাণ তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে ভালো মানের কোম্পানিগুলোর অন্তর্ভুক্তি। তবে কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন নয়, বরং অংশীজনদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এবং তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে পুঁজিবাজার সংস্কার করা হবে।
বিনিয়োগকারীরা বাজারের স্বচ্ছতা, দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং সুষ্ঠু লেনদেন পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নীতিমালা নয় বরং বাজার কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব।
পুঁজিবাজার সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের এই সংস্কার উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনই পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।