ব্যাংক ও আর্থিক খাতে আতঙ্ক কেটেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- By Jamini Roy --
- 07 January, 2025
অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ মাসে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আর্থিক খাতের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের পর দেশের ব্যাংক খাত চরম সংকটে পড়ে। আতঙ্কিত আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নিতে শুরু করেন। পাশাপাশি এস আলম এবং সালমান এফ রহমানের মতো বড় ঋণ খেলাপিদের অনিয়ম প্রকাশ্যে আসায় আর্থিক খাতে আস্থা হারায় সাধারণ জনগণ।
হুসনে আরা শিখা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে ব্যাংকিং খাত ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে, আর বৈদেশিক দেনার পরিমাণ কমে ৪০০ মিলিয়নে নেমে এসেছে। এটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার জন্য স্বস্তির খবর।”
বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠিন নীতিমালা গ্রহণ করেছে। পলিসি রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বাড়তেই থাকবে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সফলতা অর্জন করা কঠিন।
ডলার নিয়ে যারা কারসাজি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুসনে আরা শিখা সতর্ক করেছেন। তবে তিনি জানান, অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ ছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কারও ব্যাংক হিসাব জব্দ করছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমানে ব্যাংকগুলোর অডিট কার্যক্রম শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে বিদেশি অডিট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ব্যাংক খাতে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা আরো দৃঢ় হবে।