অবশেষে ব্রিকসের পূর্ণ সদস্য হলো ইন্দোনেশিয়া
- By Jamini Roy --
- 07 January, 2025
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। জোটটির বর্তমান সভাপতি ব্রাজিল জানিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি বৃদ্ধিতে ইন্দোনেশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্য করা হয়েছে। রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত এই জোটটি ইন্দোনেশিয়াকে সদস্য করে নিয়ে আরও সম্প্রসারিত হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্রিকসের সভাপতি ব্রাজিল এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়।
ইন্দোনেশিয়া আগে থেকেই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটি ব্রিকসের সহযোগী দেশের মর্যাদা পায়। পরে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে দেশটির পূর্ণ সদস্যপদ অনুমোদিত হয়।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়া অপেক্ষা করছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর। গত বছরের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটি ব্রিকসে যোগদানের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়।
ব্রাজিল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইন্দোনেশিয়া ব্রিকসের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বৈশ্বিক শাসন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে সমর্থন করে। একই সঙ্গে গ্লোবাল সাউথের মধ্যে সহযোগিতা গভীর করতে দেশটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
ব্রাজিল আরও জানায়, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত জোহানেসবার্গ সম্মেলনে নেওয়া সম্প্রসারণ উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ব্রিকসের লক্ষ্য হচ্ছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করা। ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্তি জোটের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ব্রিকস বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা এবং বৈশ্বিক জিডিপির ২৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। ইন্দোনেশিয়ার মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতির সংযোজন জোটের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্তি জোটের সম্প্রসারণে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর ভূমিকা আরও দৃঢ় করবে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জোটের বাকি সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া এখন আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।