Logo

রাজনীতি    >>   দীর্ঘ এক দশকের নেতৃত্বের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো

দীর্ঘ এক দশকের নেতৃত্বের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো

দীর্ঘ এক দশকের নেতৃত্বের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো

প্রায় এক দশক ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং লিবারেল পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর, দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) অটোয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন,

“পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা এবং চিন্তাভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লিবারেল পার্টিকে নতুন নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসেছে। আমি ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।”

২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন জাস্টিন ট্রুডো। সেসময় দলটি গভীর সংকটে ছিল। কানাডার হাউস অব কমন্সে লিবারেলরা তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল, যা দলের ইতিহাসে বড় একটি ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ট্রুডোর নেতৃত্বে ২০১৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ঐতিহাসিক জয় পায়। তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং তার নেতৃত্বে পার্টি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বাড়তে থাকে।

জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিরোধীদের সমালোচনা ছাড়াও, তার নিজ দলের সদস্যদের মধ্যেও পদত্যাগের দাবি উঠতে থাকে। সম্প্রতি, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে।

ট্রুডো বলেন,

“পরিবারের অবদান আমার রাজনৈতিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পদত্যাগই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছি।”

লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তবে রয়টার্সের মতে, লিবারেল পার্টি এখন এমন এক অবস্থানে রয়েছে, যেখানে আসন্ন নির্বাচনে তারা রক্ষণশীলদের কাছে বড় ধরনের পরাজয়ের মুখোমুখি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রুডোর পদত্যাগ কেবল তার দল নয়, পুরো কানাডার রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। লিবারেল পার্টি তাদের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন না আনলে, আসন্ন নির্বাচনে রক্ষণশীলদের কাছে হারতে পারে।

দলীয় অভ্যন্তরে বিভাজন, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, এবং জনমতের বিপরীত প্রবাহ—এই সব মিলিয়ে ট্রুডোর নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল। তার পদত্যাগ কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতার নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডা জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, এবং লিঙ্গ সমতার মতো বিষয়গুলোতে অগ্রগতি দেখেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

ট্রুডোর অবসানের পর লিবারেল পার্টি কীভাবে তাদের ঐতিহ্য এবং জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে পারে, সেটি এখন দেখার বিষয়। তার পদত্যাগ লিবারেলদের জন্য একটি নতুন সূচনা হতে পারে, অথবা রাজনৈতিক দুর্বলতার সূচক।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert