নাইকো দুর্নীতি মামলায় ১৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ
- By Jamini Roy --
- 06 January, 2025
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার (৬ জানুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ মোট আটজন আসামি রয়েছেন।
এদিন আদালতে চারজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তারা হলেন: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সেন্ট্রাল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দাস, এস এম শামসের জাকারিয়া ও মো. সামসুল হুদা চৌধুরী। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৪ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলায় মোট ৬৮ জন সাক্ষী রয়েছেন, যার মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া ও তার সহযোগীরা কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তি করে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছেন এবং দুর্নীতি করেছেন। ২০০৮ সালের ৫ মে, দুদক খালেদা জিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এছাড়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ও তার সহযোগীরা কানাডিয়ান কোম্পানিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।