
যুদ্ধবিরতি কার্যক্রমে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্ব মানতে নারাজ হামাস
প্রজ্ঞা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে দুই পক্ষ সম্মতি দিলেও যুদ্ধবিরতির পর অর্ন্তবর্তীকালীন প্রশাসনিক কোনো কার্যক্রমে টনি ব্লেয়ার দায়িত্ব দিলে তা মেনে নিতে নারাজ হামাস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম। ওই সাক্ষাৎকারে বাসেম নাইম বলেন, ‘টনি ব্লেয়ারকে নিয়ে আমাদের খারাপ স্মৃতি আছে।’
এ হামাস নেতা আরও বলেন, টনি ব্লেয়ারকে নিয়ে দুঃখজনকভাবে ফিলিস্তিনিদের, আরবদের, মুসলমানদের এবং হয়তো বিশ্বের আরও অনেকেরই খারাপ স্মৃতি রয়েছে। আমরা এখনো স্মরণ করি আফগানিস্তান ও ইরাকে তার ভূমিকার কারণে কত হাজার, এমনকি লাখো নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
নাইম আরও জানান, সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায়, তবে ব্লেয়ারকে কোনোভাবেই গাজার প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ হিসেবে দেখতে চায় না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদি হবে। এই প্রশাসনের হাতে গাজার ওপর সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও আইনি ক্ষমতা থাকবে। তবে এ প্রশাসনে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে না। মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এ প্রশাসন পরিচালনায় টনি ব্লেয়ার নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে।
টনি ব্লেয়ার ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যযুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ সমাধানে ভূমিকা রাখা, তবে তখন তিনি কোনো বাস্তব অগ্রগতি আনতে পারেননি। সূত্র : মিডল ইস্ট আই