ভারতে প্রথমবার শনাক্ত হলো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)
- By Jamini Roy --
- 06 January, 2025
ভারতের বেঙ্গালুরুতে প্রথমবারের মতো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভাইরাসে আক্রান্ত দুই শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। তিন এবং আট মাস বয়সি এই দুই শিশু বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে সোমবার (৬ জানুয়ারি) জানানো হয়, আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের সাম্প্রতিক কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
চীনের নতুন ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে এইচএমপিভির সংযোগ থাকতে পারে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, চীনের ভাইরাস স্ট্রেন এবং বেঙ্গালুরুর এইচএমপিভি সংক্রমণের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
তিন মাস বয়সি শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আট মাস বয়সি শিশুটি কর্ণাটকের রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে ঠাণ্ডা-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায় এবং এটি শীতকালে বেশি সক্রিয় থাকে। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অতুল গয়াল জানিয়েছেন, শ্বাসজনিত সমস্যাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। এমন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব হর্ষ গুপ্তা। ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০২০ সালের করোনা মহামারির পর চীনে নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ফ্লু-জাতীয় রোগের প্রকোপ সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
মালয়েশিয়াতেও ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতা বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এতে সাধারণত ঠাণ্ডা-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়। ছোট শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে তা বড় সংকটে পরিণত হতে পারে।
ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, তবে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।