সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এবং বিডিডিগেস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নাসিমুল গনি হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেদনে একটি ২০০৮ সালের ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের বরাত দেয়া হয়। তবে প্রেস উইং স্পষ্ট করেছে, ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে যে নাসিমুল গনির উল্লেখ রয়েছে, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বাংলাদেশের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮৩ সালে দেশের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনো কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

প্রেস উইং জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তার এই ধরনের সংগঠনে যোগ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শিক্ষাজীবন শেষে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং তার পুরো কর্মজীবনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রেস উইং বিবৃতিতে বলেছে, এই মিথ্যা প্রতিবেদন একটি পরিকল্পিত প্রচারণার অংশ। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের সমর্থকেরা বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।

নাসিমুল গনি ২০০০ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকারের সচিব ছিলেন। সে সময় তিনি ব্রিটেনে কয়েকবার সফর করেন। ২০০৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ডে একটি টপ ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণেও অংশ নেন। তবে এসব সফরের সঙ্গে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এবং সংগঠনটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে। সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

প্রেস উইং এই বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং জনগণকে মিথ্যা প্রচারণার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সুনাম ক্ষুণ্ন করার যে চেষ্টা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।