ইসরাইল ও লেবাননের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো

ইসরাইলি সেনারা লেবানন ছেড়ে না গেলেও, দেশটিতে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, তা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এতে আরও জানানো হয়েছে যে, লেবানন ও ইসরাইলের সঙ্গে লেবাননের বন্দিদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, লেবানন নিশ্চিত করেছে যে তারা বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলবে। এর আগে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির শেষ দিন ইসরাইলি হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং ৮০ জনেরও বেশি লেবানিজ আহত হয়েছেন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, হামলার সময় হিজবুল্লাহ সদস্যরা অঞ্চলটিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা গুলি চালিয়েছে।

এদিকে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা দাবি করেছে, ইসরাইলের নেতানিয়াহু বাহিনী এসব হামলা বন্ধ এবং লেবানন থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করতে তেল আবিবের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানায়।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরাইলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না। একইসঙ্গে, জাতিসংঘের অন্তবর্তী বাহিনী ইউনিফিল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণ বাসিন্দাদের ওপর গুলি না চালানোর জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সংঘাত অব্যাহত থাকলে তা লেবাননের ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে ফেলবে।

এছাড়া, ইউনিফিল চুক্তি অনুযায়ী দ্রুত লেবানন থেকে সব ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, ইসরাইল চুক্তি ভেঙে হামলা চালিয়ে গেলেও, যুদ্ধবিরতি সময়সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। বৈরুত ও তেল আবিবের মধ্যে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।