ইসরাইলি জিম্মি মুক্তিতে হামাসের প্রতিশ্রুতি
- By Jamini Roy --
- 27 January, 2025
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো আরবেল ইয়াহুদ, যার মুক্তি দিতে দেরি করায় ইসরাইল গাজার উত্তরাঞ্চলে লাখো গাজাবাসীর প্রত্যাবর্তন আটকে দিয়েছিল। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ছয় জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল গাজার উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার বাধা সরিয়ে নেবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন। তিনি জানান, ছয় জিম্মির মধ্যে তিনজনকে বৃহস্পতিবার এবং বাকি তিনজনকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে। নেতানিয়াহু সতর্ক করেছেন যে, "ইসরাইল কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন সহ্য করবে না। আমরা আমাদের সব জীবিত ও মৃত নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ চালিয়ে যাব।"
সোমবার ভোরে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে প্রথম ধাপে মুক্তি পেতে যাওয়া ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ছয় সপ্তাহে হামাস ৩৩ জন নারী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও আহত বন্দিকে মুক্তি দেবে। প্রতি বেসামরিক জিম্মির বিনিময়ে ইসরাইল ৩০ জন বন্দি এবং প্রতি সেনা জিম্মির জন্য ৫০ জন বন্দি মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।
এর আগে শনিবার হামাস তাদের হাতে জিম্মি থাকা চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ইসরাইল ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। তবে এরপরই ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।
ইসরাইলের অভিযোগ, আরবেল ইয়াহুদসহ কয়েকজন বেসামরিক জিম্মির মুক্তির কার্যক্রম যথাসময়ে না হওয়ায় গাজার লাখো বাসিন্দার প্রত্যাবর্তন আটকে দেওয়া হয়েছে। গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করলেও ইসরাইল শনিবার থেকে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি লঙ্ঘন করছে। অন্যদিকে হামাস তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।