ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও আহ্বান
- By Jamini Roy --
- 31 December, 2024
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সকল মানুষের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "কামনা করি, ইংরেজি নববর্ষ সবার জীবনে আনন্দ, সুখ, শান্তি এবং কল্যাণ বয়ে আনুক।"
ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, "অতীতকে পেছনে ফেলে, সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিস্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। নববর্ষ পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি এবং হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে, নতুন উদ্যামে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। আমরা আশা করি নতুন বছরে আমাদের দেশে সামগ্রিক রূপান্তরের একটি নতুন পর্ব শুরু হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মানুষের সহজাত প্রবণতা হলো নতুনকে গ্রহণ করা। তাই আমাদের উচিত অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করা। আমরা এমন একটি জাতি গড়ার প্রত্যাশা করি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে।"
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, "এ বছরটি আমাদের মনে দীর্ঘকাল জাগরুক হয়ে থাকবে। এর অনেক অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বছরে আমাদের একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে, তেমনি অন্যদিকে নতুন উদ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।"
তিনি নববর্ষ উপলক্ষে একটি দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষণা করেন, যা হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা এবং দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একযোগে কাজ করা।
তারেক রহমান আরও বলেন, "বাংলাদেশে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রয়োগ ও অনুশীলনে আমাদেরকে তৎপর হতে হবে। গণবিরোধী শক্তি এতদিন জনগণের সকল অধিকারকে বন্দি করে রেখেছিল। এখন আমাদের একত্রে প্রচেষ্টা করতে হবে যেন বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।"
তিনি নববর্ষের শুভেচ্ছার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালানোর আহ্বান জানান। "নববর্ষ সবার জীবনে নতুন স্পন্দন, নতুন আশা এবং নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে, এবং সকল ধরনের অন্যায়, উৎপীড়ন ও নির্যাতন চিরতরে দূর হয়ে যাবে," বলেন তিনি।
তিনি শেষ করেন, "খ্রিস্টাব্দ বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিদিনের জীবনে অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে রয়েছে। তাই পৃথিবীজুড়ে নববর্ষ বরণ করতে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার সংগ্রামে সকলে একত্রে এগিয়ে আসুক। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!"